দুর্নীতির অভিযোগে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার বিকালে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় এ ছয়টি মামলা করেন।
আসামিরা হলেন সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী একেএম ফখরুল ইসলাম, অফিস সহকারী আনিসুর রহমান, অয়েল ট্যাংকার মালিক এনায়েত হোসেন, গোলাম মোস্তফা, কবির হোসেন, ড্রেজার মালিক মামুন সর্দার, হাজী আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান, আল ইমরান, মোহাম্মদ সেন্টু মিঞা ও মোহাম্মদ ইউসুফ আলী।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আকতার হোসেন জানান, সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগে প্রকৌশলী একেএম ফখরুল ইসলাম এবং ভুয়া কাজগপত্র দাখিল করে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে নয় জন অয়েল ট্যাংকার ও ড্রেজার মালিকের বিরুদ্ধে মামলাগুলো করা হয়েছে।
দ-বিধির ৪০৯ ধারায় এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫ এর (২) ধারায় করা এ ছয়টি মামলায়ই সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, প্রধান প্রকৌশলী নৌযান জরিপ এবং নকশা অনুমোদন না করেই চারটি ড্রেজার এবং তিনটি অয়েল ট্যাংকারকে ভুয়া সার্ভে সনদ ও রেজিস্ট্রেশন দিয়েছেন। এছাড়া নিয়মানুয়ায়ী ট্যারিফ ভ্যালু অনুযায়ী ড্রেজারের ভ্যাট (মুসক) না নিয়ে গ্রস টন হিসাবে ভ্যাট (মুসক) নিয়েছেন। এতে সরকারের দুই লাখ ৬৯ হাজার টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে ড্রেজার ও অয়েল ট্যাংকার মালিকরা ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে রেজিস্ট্রেশন নেওয়া এবং ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ড্রেজার ও অয়েল ট্যাংকার মালিকদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল এলাকার বলে জানিয়েছেন দুদকের কর্মকর্তারা।
Ads by Cash-71
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment