ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত পর্ব শুরু হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করতে দিনাজপুর যাচ্ছে একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল।
বুধবার সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় স¤পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বৃহস্পতিবার বড় পুকুরিয়ার কয়লা খনি, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্পের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করবেন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাসহ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
সংসদীয় কমিটির সদস্যরাসহ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. মেজবাহউদ্দীন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. হোসেন মনসুরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও থাকবেন এ প্রতিনিধি দলে।
ক্ষতিপূরণ কার্যক্রম শুরুর পর শনিবার তাদের ঢাকায় ফেরার কথা।
ভূমি অধিগ্রহণ
দিনাজপুুর থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধি মোর্শেদুর রহমান জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্প এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ চেক দেওয়ার মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া বৃহস্পতিবারই শুরু করা হচ্ছে।
বিকাল ৫টায় ভূমি প্রতিমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, বিদ্যুৎ জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থানীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া এই চেক বিতরণ শুরু করবেন।
দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক জামাল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য গত ১২ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর বড়পুকুরিয়া স্কুল এন্ড কলেজে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ে ৮৩৭ জনের একটি তালিকাও চূড়ান্ত করা হয় সে সময়।
বাছাই প্রক্রিয়ার সমন্বয়কারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাকির হোসেন জানান, ১ হাজার ৩৫১ জনের মধ্যে থেকে এই ৮৩৭ জনকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বাকি ৫১৪ জনের কাগজপত্র পুনরায় যাচাই-বাছাই করা হবে।
বড়পুকুরিয়া জীবন সম্পদ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ইব্রাহিম খলিল বলেন, এই প্রকল্পের জন্য বড়পুকুরিয়াসহ জিগাগাড়ি, বলরামপুর, মৌপুকুর, কালুপাড়া, বৈদ্যনাথপুর ও বাঁশপুকুর গ্রামের ৬২৭ দশমিক ৭৩ একর ভূমি অধিগ্রহণ করবে। ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরা ফসলি জমির জন্য একর প্রতি ২০ লাখ টাকা এবং বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য একর প্রতি ২৫ লাখ টাকা করে পাবেন।
এছাড়া এ প্রকল্পের কারণে প্রত্যেক ভূমিহীন পরিবার বা প্রান্তিক কৃষক পরিবার পাবে ২ লাখ টাকা করে। এ ধরনের ৩১৮টি পরিবারের একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে বলে খলিল জানান।
0 comments:
Post a Comment