SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

গোলযোগ ছাড়াই হরতাল চলছে

Posted by methun


বিএনপিসহ চার দলের ডাকা হরতাল কোনো ধরনের গোলযোগ ছাড়াই চলছে। হরতালে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও ট্রেন, লঞ্চ ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক।

জ্বালানি তেল ও সিএনজির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ হরতাল ডাকা হয়েছে।

ঢাকাসহ মহানগরগুলোতে ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতি এবং র‌্যাবের টহলের মধ্যে হরতালকারীদের রাজপথে নামতে দেখা যায়নি। তবে সরকার সমর্থকদের হরতালবিরোধী মিছিল দেখা গেছে।

বিএনপির নেতারা নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, তাদের মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না।

ঢাকার সায়দাবাদ, গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন জেলামুখী বাসগুলো ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। তবে সায়েদাবাদ থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি অভিমুখে কয়েকটি বাস ছেড়েছে।

ঢাকার অভ্যন্তরীণ রুটের অনেক বাসই চলছে। চলছে অটোরিকশা ও রিকশাও। তবে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনে বেশ ভিড় দেখা গেছে। সকালে এয়ারপোর্ট স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর যাত্রীর উপস্থিতি। ট্রেনগুলোও সময় মতো ছাড়তে দেখা গেছে।

সদরঘাট থেকে লঞ্চও চলাচল করছে, তবে যাত্রী সংখ্যা অন্য দিনের তুলনায় কম। বিমান চলাচল স্বাভাবিক বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার সমর্থক ছাত্রলীগ হরতালবিরোধী মিছিল করেছে। বিএনপি সমর্থক ছাত্রদলের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রমনা পার্ক থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতা রয়েছেন।

শাহবাগ থানার ওসি রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, "মিছিল বের করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চেয়েছিলো ওই তিন জন।"

গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রদল নেতা হলেন- কাজী গোলাম মোক্তাদির। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি প্রথম বর্ষের ছাত্র। অন্য দুজন হলেন ঢাকা কলেজের ছাত্র মিজানুর রহমান মিন্টু ও আবু সাঈদ।

ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকেই শান্তিপূর্ণ হরতালের খবর পাওয়া গেছে। বাস চলাচল না করলেও রাস্তায় অটো রিকশা, টেম্পু, রিকশা চলছে। দোকানপাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হলেও সরকারি অফিস-আদালতে কাজ শুরু হয়েছে।

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পল্টনে জনসভা থেকে খালেদা জিয়ার সরকারবিরোধী আন্দোলনের কথা থাকলেও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং সোমবার ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর হরতাল ডাকে বিএনপি।

বিএনপির পাশাপাশি চারদলীয় জোটের অংশীদার জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও ইসলামী ঐক্যজোটও একইসঙ্গে হরতাল ডাকে। অলি আহমদ নেতৃত্বাধীন এলডিপি এ হরতালে সমর্থন দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলে এটি বিএনপির ডাকা সপ্তম হরতাল।

সর্বশেষ গত ৬, ৭ ও ৮ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালসহ পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের দাবিতে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।

২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার দেড় বছর পর ২০১০ সালের ২৭ জুন প্রথম হরতাল ডেকেছিলো বিএনপি।

0 comments:

Post a Comment