প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণতন্ত্রের দুর্বল চর্চা, রাজনৈতিক দলগুলোর মেরুকরণ, দুর্নীতি ও সুশীল সমাজের ব্যাপারে সরকারের অবস্থানের অস্পষ্টতাকে বাংলাদেশের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়নের অপেক্ষায় থাকা ড্যান ডব্লিউ মোজেনা।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে এক শুনানিতে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশকে চিহ্নিত করেন 'প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ঝুঁকির মুখে থাকা' দেশ হিসেবে।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ১৯৯৮ থেকে ২০০১ পর্যন্ত কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী মোজেনা সিনেটকে বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তোরণ, মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতিতে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
গত জুন মাসে জেমস এফ মারিয়ার্টি বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্ব শেষ করে ফিরে যাওয়ার পর অ্যাঙ্গোলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনাকে বাংলাদেশে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত করার জন্য মনোনয়ন দেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টি উল্লেখ করে সিনেটের শুনানিতে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন ড্যান মজিনা।
তিনি বলেন, "ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের পাশাপাশি সন্ত্রাস নির্মূলে প্রতিবেশী দেশটির প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ যা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক হবে।"
বাংলাদেশকেও সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "সহিংস জঙ্গিবাদের বদলে বাংলাদেশ একটি মধ্যপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক অবস্থানের পক্ষে।"
জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকার বিষয়টিও সিনেটের সামনে তুলে ধরেন এই মার্কিন কূটনীতিক।
১৯৮৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৪৯ হাজার সদস্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন।
"আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতে সহযোগিতা দিলেই যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থরক্ষা করা সম্ভব", বলেন মোজেনা।
আশাবাদের আধার
মোজেনার দৃষ্টিতে বাংলাদেশের মানুষ নমনীয় এবং উদ্যোগী। আর এই গুণের কারণে এ দেশে দারিদ্র্যের হার গত পাঁচ বছরে ৪০ শতাংশ থেকে ৩১.৫ শতাংশে নেমে এসেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের সামনে তুলে ধরেন ড্যান মোজেনা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশকে তিনি তুলনা করেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত 'দি লিটল ইঞ্জিন দ্যাট কুড' বইটির সঙ্গে, যাতে মার্কিন শিশুদের পরিশ্রমী ও আশাবাদী হওয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।
সিনেটকে তিনি জানান, বাংলাশের বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন ৬ শতাংশের ঘরে রয়েছে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
"দেশটি জনসংখ্যা বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সাফল্য পেয়েছে।"
মোজেনা মনে করেন, বাংলাদেশের সুশীল সমাজ যথেষ্ট গতিশীল এবং নারীর ক্ষমতায়নের দিক দিয়েও এ দেশ অনেকটা এগিয়েছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমকেও 'দৃপ্তকণ্ঠ' বলে মনে হয়েছে তার।
'এ জাতির মধ্যে আশাবাদ অনুরণিত হচ্ছে," যোগ করেন মোজেনা।
ভালো সহযোগী
যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের শক্তিশালী সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে মোজেনা শুনানিতে বলেন, "স্বাস্থ্য এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে দেওয়া সহযোগিতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গর্ব করতে পারে।"
মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রতিশ্র"তির উল্লেখ করে বাংলাদেশকেও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
মার্কিন কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, "বিদেশে দায়িত্ব পালনের সময় আমি নানা জায়গা ভ্রমণ করেছি, যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা নিয়ে গেছি মানুষের কাছে। মনোনীত হলে আমি বাংলাদেশেও ৬৪ জেলায় ঘুরে একই দায়িত্ব পালন করব।"
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে এক শুনানিতে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশকে চিহ্নিত করেন 'প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ঝুঁকির মুখে থাকা' দেশ হিসেবে।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ১৯৯৮ থেকে ২০০১ পর্যন্ত কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী মোজেনা সিনেটকে বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তোরণ, মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতিতে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
গত জুন মাসে জেমস এফ মারিয়ার্টি বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্ব শেষ করে ফিরে যাওয়ার পর অ্যাঙ্গোলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনাকে বাংলাদেশে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত করার জন্য মনোনয়ন দেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টি উল্লেখ করে সিনেটের শুনানিতে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন ড্যান মজিনা।
তিনি বলেন, "ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের পাশাপাশি সন্ত্রাস নির্মূলে প্রতিবেশী দেশটির প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ যা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক হবে।"
বাংলাদেশকেও সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "সহিংস জঙ্গিবাদের বদলে বাংলাদেশ একটি মধ্যপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক অবস্থানের পক্ষে।"
জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকার বিষয়টিও সিনেটের সামনে তুলে ধরেন এই মার্কিন কূটনীতিক।
১৯৮৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৪৯ হাজার সদস্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন।
"আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতে সহযোগিতা দিলেই যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থরক্ষা করা সম্ভব", বলেন মোজেনা।
আশাবাদের আধার
মোজেনার দৃষ্টিতে বাংলাদেশের মানুষ নমনীয় এবং উদ্যোগী। আর এই গুণের কারণে এ দেশে দারিদ্র্যের হার গত পাঁচ বছরে ৪০ শতাংশ থেকে ৩১.৫ শতাংশে নেমে এসেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের সামনে তুলে ধরেন ড্যান মোজেনা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশকে তিনি তুলনা করেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত 'দি লিটল ইঞ্জিন দ্যাট কুড' বইটির সঙ্গে, যাতে মার্কিন শিশুদের পরিশ্রমী ও আশাবাদী হওয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।
সিনেটকে তিনি জানান, বাংলাশের বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন ৬ শতাংশের ঘরে রয়েছে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
"দেশটি জনসংখ্যা বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সাফল্য পেয়েছে।"
মোজেনা মনে করেন, বাংলাদেশের সুশীল সমাজ যথেষ্ট গতিশীল এবং নারীর ক্ষমতায়নের দিক দিয়েও এ দেশ অনেকটা এগিয়েছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমকেও 'দৃপ্তকণ্ঠ' বলে মনে হয়েছে তার।
'এ জাতির মধ্যে আশাবাদ অনুরণিত হচ্ছে," যোগ করেন মোজেনা।
ভালো সহযোগী
যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের শক্তিশালী সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে মোজেনা শুনানিতে বলেন, "স্বাস্থ্য এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে দেওয়া সহযোগিতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গর্ব করতে পারে।"
মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রতিশ্র"তির উল্লেখ করে বাংলাদেশকেও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
মার্কিন কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, "বিদেশে দায়িত্ব পালনের সময় আমি নানা জায়গা ভ্রমণ করেছি, যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা নিয়ে গেছি মানুষের কাছে। মনোনীত হলে আমি বাংলাদেশেও ৬৪ জেলায় ঘুরে একই দায়িত্ব পালন করব।"
0 comments:
Post a Comment