রাজধানীর অভিজাত বিউটি পারলার পারসোনার বনানী শাখায় গোপন ক্যামেরায় মহিলাদের ভিডিওচিত্র ধারণ করায় কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, জানতে চেয়ে পারলারটির স্বত্বাধিকারী কানিজ আলমাস খানকে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল রাতে পারসোনার প্যাডে পাঠানো এক বিবৃতিতে কানিজ আলমাস খান ও সেবাগ্রহীতার স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ঘটনাটি নিছক ভুল বোঝাবুঝির ফল। এই বিষয়টি নিয়ে যাতে আর কোনো প্রকার ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ না থাকে সে জন্য সবার কাছে তারা অনুরোধ জানিয়েছেন। গতকাল জনস্বার্থে এই লিগ্যাল নোটিসটি পাঠিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের চার আইনজীবী মাহফুজ হাসান, আরিফুল হক, নুরুজ্জামান ও ইলিয়াস হুসাইন। অন্যদিকে চাঞ্চল্যকর এ বিষয়টি নিয়ে গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নিজামুল হক মোল্লাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার (পেট্রল) নুরুল আলম ও সহকারী কমিশনার (প্রশাসন) মিজানুর রহমান। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ। এদিকে তদন্তের অগ্রগতি জানতে চেয়ে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নিজামুল হক মোল্লার রহস্যজনক মন্তব্য মিলেছে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, কানিজ আলমাসের বক্তব্যই তাদের তদন্তকাজকে অনেক সহজ করে দিতে পারে। অভিযোগকারী তো থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। এ ক্ষেত্রে পত্রপত্রিকা তো অনেক কিছুই লেখে! পত্রিকা পড়ার মতো তার সময় নেই বলেও জানান তিনি। এদিকে কয়েকজন আইটি এক্সপার্টের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হার্ডডিক্সটি পরিবর্তন করা না হলে মুছে ফেলা সব তথ্যই সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভিকটিমের স্বামী ছাড়াও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ওই ডিক্সের ফুটেজগুলো দেখেছিলেন। এখন সবকিছুই নির্ভর করছে তদন্তসংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার ওপর।
লিগ্যাল নোটিসে যা বলা হয়েছে : 'কানিজ আলমাস খান বিউটি পারলারে রূপচর্চার আড়ালে রূপচর্চার কক্ষগুলোয় গোপনে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মহিলাদের আপত্তিকর ভিডিওচিত্র ধারণ করে আসছেন, যা জনজীবনে ভীতিকর প্রভাব সৃষ্টি, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।' নোটিসে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৬৭ ও ৫৭ ধারায় এ ধরনের অপরাধে ১০ বছর কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। একই সঙ্গে কানিজ আলমাস খানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে না, তা সাত কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে জনস্বার্থে কানিজ আলমাস খানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সরাসরি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়। প্রসঙ্গত, ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে একজন শিল্পপতির চিকিৎসক স্ত্রী বনানীর ১১ নম্বর রোডের ৭৬/১ নম্বর ভবনে পারসোনায় স্পা করাতে যান। নিয়মানুযায়ী তিনি সেখানে নির্দিষ্ট কক্ষে পোশাক পরিবর্তনের একপর্যায়ে গোপন ক্যামেরা লক্ষ্য করেন। এ নিয়ে সেখানে ব্যাপক হট্টগোল শুরু হলে গুলশান থানার পুলিশ গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওচিত্রসহ কম্পিউটারের হার্ডডিক্স জব্দ করে।
এদিকে গতকাল রাতে পারসোনার প্যাডে পাঠানো এক বিবৃতিতে কানিজ আলমাস খান ও সেবাগ্রহীতার স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ঘটনাটি নিছক ভুল বোঝাবুঝির ফল। এই বিষয়টি নিয়ে যাতে আর কোনো প্রকার ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ না থাকে সে জন্য সবার কাছে তারা অনুরোধ জানিয়েছেন। গতকাল জনস্বার্থে এই লিগ্যাল নোটিসটি পাঠিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের চার আইনজীবী মাহফুজ হাসান, আরিফুল হক, নুরুজ্জামান ও ইলিয়াস হুসাইন। অন্যদিকে চাঞ্চল্যকর এ বিষয়টি নিয়ে গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নিজামুল হক মোল্লাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার (পেট্রল) নুরুল আলম ও সহকারী কমিশনার (প্রশাসন) মিজানুর রহমান। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ। এদিকে তদন্তের অগ্রগতি জানতে চেয়ে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নিজামুল হক মোল্লার রহস্যজনক মন্তব্য মিলেছে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, কানিজ আলমাসের বক্তব্যই তাদের তদন্তকাজকে অনেক সহজ করে দিতে পারে। অভিযোগকারী তো থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। এ ক্ষেত্রে পত্রপত্রিকা তো অনেক কিছুই লেখে! পত্রিকা পড়ার মতো তার সময় নেই বলেও জানান তিনি। এদিকে কয়েকজন আইটি এক্সপার্টের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হার্ডডিক্সটি পরিবর্তন করা না হলে মুছে ফেলা সব তথ্যই সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভিকটিমের স্বামী ছাড়াও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ওই ডিক্সের ফুটেজগুলো দেখেছিলেন। এখন সবকিছুই নির্ভর করছে তদন্তসংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার ওপর।
লিগ্যাল নোটিসে যা বলা হয়েছে : 'কানিজ আলমাস খান বিউটি পারলারে রূপচর্চার আড়ালে রূপচর্চার কক্ষগুলোয় গোপনে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মহিলাদের আপত্তিকর ভিডিওচিত্র ধারণ করে আসছেন, যা জনজীবনে ভীতিকর প্রভাব সৃষ্টি, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।' নোটিসে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৬৭ ও ৫৭ ধারায় এ ধরনের অপরাধে ১০ বছর কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। একই সঙ্গে কানিজ আলমাস খানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে না, তা সাত কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে জনস্বার্থে কানিজ আলমাস খানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সরাসরি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়। প্রসঙ্গত, ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে একজন শিল্পপতির চিকিৎসক স্ত্রী বনানীর ১১ নম্বর রোডের ৭৬/১ নম্বর ভবনে পারসোনায় স্পা করাতে যান। নিয়মানুযায়ী তিনি সেখানে নির্দিষ্ট কক্ষে পোশাক পরিবর্তনের একপর্যায়ে গোপন ক্যামেরা লক্ষ্য করেন। এ নিয়ে সেখানে ব্যাপক হট্টগোল শুরু হলে গুলশান থানার পুলিশ গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওচিত্রসহ কম্পিউটারের হার্ডডিক্স জব্দ করে।
0 comments:
Post a Comment