গরিবের ওএমএসের চাল এখন খাদ্য বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কব্জায়। ঘুষ ছাড়া ডিলাররা একমুঠো চালও তুলতে পারেন না। একজন ডিলারকে চাল তুলতে সাত জায়গায় ঘুষ দিতে হয়। আর ঘুষের এই রেটও এখন ছকে বাঁধা। রেট কম হলে চালের বস্তার ওজনও কমে যায়। এ অপকর্মের সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের পছন্দের লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে ওএমএস ডিলার, খাদ্য বিভাগের কর্মকতা-কর্মচারী ও সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। ডিলাররা বলছেন_ঘুষের দাবি মেটাতেই তারা ওজনে কম দেন। ক্রেতাদের অভিযোগ_ওজনের প্রশ্ন তুললেই বলা হয় চাল বিক্রি বন্ধ।
বর্তমানে ঢাকা শহরে ট্রাকে চাল ও আটা বিক্রির জন্য ৩৩০ জন ডিলার রয়েছেন। একজন ডিলার প্রতিদিন তিন টন চাল তুলতে পারেন। প্রধান রেশনিং কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী_ মহানগীরতে প্রতিদিন ২০০ ট্রাকে ৬০০ টন চাল বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজির দাম সাড়ে ২২ টাকা। মিরপুর এক নম্বর সেকশনের মাজারের সামনে গতকাল চাল বিক্রি করেন ডিলার আবুল বাশার। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মানু মিয়া নামে মাজার বস্তির এক বাসিন্দা সেখান থেকে ১১২ টাকা ৫০ পয়সা দিয়ে পাঁচ কেজি চাল কেনেন। পরে পাশের এক মুদি দোকানে ওজন করে দেখেন চার কেজি ৬০০ গ্রাম। একইভাবে সকাল পৌনে ১০টায় কাদের নামে আরেক ব্যক্তি পাঁচ কেজি চাল কেনার পর মেপে দেখেন চার কেজি ৬০০ গ্রাম। দুপুর ১২টার দিকে চানখাঁরপুল এলাীকায় গিয়ে দেখা যায়, লাইন দিয়ে মানুষ চাল কিনছে। কুলসুম বিবি পাঁচ কেজি চাল কেনার পর মেপে দেখেন ওজনে কম। সেখানে উপস্থিত খাদ্য বিভাগের পরিদর্শক আবদুল মান্নানকে জানানো হলে তিনি ডিলারের কর্মচারী রফিককে বকা দিয়ে তাকে সঠিক ওজনে চাল দেন। জানতে চাইলে ঢাকা রেশনিং অফিসের (অঞ্চল-৭) কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ দাবি করেন, 'কোনো ডিলার ওজনে কম দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।' কম দেওয়া প্রসঙ্গে ডিলার মোহসিন মিয়া বলেন, 'একজন ডিলারও চোর নয়। আমরা লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে ওজনে কম দেই। তিন টন চাল পেতে এরিয়া রেশনিং অফিসে ডিওর জন্য এক হাজার টাকা দিতে হয়। তেজগাঁও কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম থেকে ডিও দিয়ে চালান ইস্যুর সময় দিতে হয় আরও এক হাজার টাকা। নইলে গুদাম থেকে ওই টাকার চাল কম দেওয়া হয়। গোডাউনের কেয়ারটেকার নেন ৫০০ টাকা। চাল ট্রাকে ওঠানোর সময় লেবারকে দিতে হয় ৪০০ টাকা। ট্রাক মেইন গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় গোডাউন পরিদর্শক নেন ৫০ টাকা।
বর্তমানে ঢাকা শহরে ট্রাকে চাল ও আটা বিক্রির জন্য ৩৩০ জন ডিলার রয়েছেন। একজন ডিলার প্রতিদিন তিন টন চাল তুলতে পারেন। প্রধান রেশনিং কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী_ মহানগীরতে প্রতিদিন ২০০ ট্রাকে ৬০০ টন চাল বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজির দাম সাড়ে ২২ টাকা। মিরপুর এক নম্বর সেকশনের মাজারের সামনে গতকাল চাল বিক্রি করেন ডিলার আবুল বাশার। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মানু মিয়া নামে মাজার বস্তির এক বাসিন্দা সেখান থেকে ১১২ টাকা ৫০ পয়সা দিয়ে পাঁচ কেজি চাল কেনেন। পরে পাশের এক মুদি দোকানে ওজন করে দেখেন চার কেজি ৬০০ গ্রাম। একইভাবে সকাল পৌনে ১০টায় কাদের নামে আরেক ব্যক্তি পাঁচ কেজি চাল কেনার পর মেপে দেখেন চার কেজি ৬০০ গ্রাম। দুপুর ১২টার দিকে চানখাঁরপুল এলাীকায় গিয়ে দেখা যায়, লাইন দিয়ে মানুষ চাল কিনছে। কুলসুম বিবি পাঁচ কেজি চাল কেনার পর মেপে দেখেন ওজনে কম। সেখানে উপস্থিত খাদ্য বিভাগের পরিদর্শক আবদুল মান্নানকে জানানো হলে তিনি ডিলারের কর্মচারী রফিককে বকা দিয়ে তাকে সঠিক ওজনে চাল দেন। জানতে চাইলে ঢাকা রেশনিং অফিসের (অঞ্চল-৭) কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ দাবি করেন, 'কোনো ডিলার ওজনে কম দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।' কম দেওয়া প্রসঙ্গে ডিলার মোহসিন মিয়া বলেন, 'একজন ডিলারও চোর নয়। আমরা লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে ওজনে কম দেই। তিন টন চাল পেতে এরিয়া রেশনিং অফিসে ডিওর জন্য এক হাজার টাকা দিতে হয়। তেজগাঁও কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম থেকে ডিও দিয়ে চালান ইস্যুর সময় দিতে হয় আরও এক হাজার টাকা। নইলে গুদাম থেকে ওই টাকার চাল কম দেওয়া হয়। গোডাউনের কেয়ারটেকার নেন ৫০০ টাকা। চাল ট্রাকে ওঠানোর সময় লেবারকে দিতে হয় ৪০০ টাকা। ট্রাক মেইন গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় গোডাউন পরিদর্শক নেন ৫০ টাকা।
0 comments:
Post a Comment