SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

ছিটমহল: এক লাখ ২০ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ

Posted by methun

মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে ছিটমহলের বাসিন্দাদের দশদিনের কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

রোববার ছিল জনমত গঠন ও গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানের শেষ দিন।

এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৫০ হাজার এবং ভারতের ৭০ হাজার নাগরিক স্বাক্ষর দিয়ে ছিটবাসীর আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

সকাল থেকে দু'দেশের ছিটমহলের বাসিন্দাদের ৭৩টি দল গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করে। এর মধ্যে বাংলাদেশে ১৭টি এবং ভারতে ৫৬টি দল কাজ করে।

সকাল ৮টায় ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা।

ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মইনুল হকের সভাপত্বিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি নুর ইসলাম শেখ, ছিটমহল সমন্বয় কমিটির নেতা মোজাফ্ফর হোসেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল গনি, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির ভারত ইউনিটের সহ-সাধারণ সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১ ছিটমহলের বাসিন্দারা ৫৬টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সেদেশে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে।

তিন দিনে প্রায় ৭০ হাজার ভারতীয় নাগরিক স্বতস্ফূর্তভাবে স্বাক্ষর দিয়ে এ আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে। ভারতের কুচবিহার জেলা সদরে ১১টি, দিনহাটায় ১৫টি, শীতলকুচিতে ৪টি, মাথাডাঙ্গায় ৭টি, মেকলিগঞ্জে ১৩টি ও তুফানগঞ্জে ৬টি টিম গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার ৫১টি ছিটমহলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নিষ্প্রদীপ থাকবে বলে তিনি জানান।

ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, বাংলাদেশ ভূখ-ের অভ্যন্তরে ভারতের কুচবিহার জেলার অধীনে ১১১টি ছিটমহলের বাসিন্দাদের ১৭টি দল গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে।

তিন দিনে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে তারা।

কুড়িগ্রামে ৯টি, লালমনিরহাটে ৩টি, পঞ্চগড়ে ৫টি এবং নীলফামারী জেলায় ১টি দল গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ছিটমহলে সোমবার নিষ্প্রদীপ সন্ধ্যা পালিত হবে বলে তিনি জানান।

গণস্বাক্ষর সংগ্রহ ছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সোমবার ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নিষ্প্রদীপ সন্ধ্যা, মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাড়িতে দিনের বেলায় রান্নার চুলা জ্বলবে না, বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, বৃহস্পবিার (২৯ সেপ্টেম্বর) মৌন মিছিল, শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বাইসাইকেল মিছিল, শনিবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় মশাল মিছিল এবং শেষদিন রোববার (২ অক্টোবর) বিক্ষোভ সমাবেশ।

এ সময়ের মধ্যে দু'দেশের সরকার ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ না নিলে ২ অক্টোবর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে নেতারা জানান।

গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উপস্থিতিতে ঢাকায় স্থলসীমা নিয়ে একটি প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়। এর মাধ্যমে ১৯৭৪ সালের চুক্তির আওতায় ছিটমহল বিনিময় করবে দুই দেশ। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে সাড়ে ৬ কিলোমিটার অচিহ্নিত সীমানা এবং অপদখলীয় ভূমি সমস্যারও সমাধান করা হবে এ প্রটোকলের আওতায়।

তবে প্রটোকলে ছিটমহল বিনিময় বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় বা প্রক্রিয়া নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু উল্লেখ নেই- এমন অভিযোগে দুই দেশের ছিটমহলের নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয়। তাদের আশঙ্কা, বিষয়টি আবারো ঝুলে গেছে।

0 comments:

Post a Comment