দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ সুনির্দিষ্ট নয় দাবি করে এর ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন না করার পক্ষে ট্রাইব্যুনালে যুক্তি তুলে ধরেছেন জামায়াত নেতার আইনজীবী।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাঈদীর আইনজীব তাজুল ইসলাম বলেছেন, "বায়বীয় অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠনের এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।"
সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগ আনতে পারেনি বলে দাবি করেন তিনি।
তাজুল বলেন, অনেকগুলো ঘটনার কথা বলা হলেও এগুলো কোথায়-কখন ঘটেছে, তা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। আর পিরোজপুরের এসব ঘটনার সঙ্গে সাঈদীর জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণও আসেনি বলে দাবি করেন তিনি।
অভিযোগ আনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়নি দাবি করে অভিযোগ গঠন না করার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন রাখেন তাজুল।
গত ২১ সেপ্টেম্বর শুরু করে রোববার দ্বিতীয় দিনে বক্তব্য শেষ করেন তাজুল। তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর জবাব দেওয়া শুরু করেন ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি হায়দার আলী।
আসামি পক্ষের কৌঁসুলির বক্তব্য সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।
পুরনো হাইকোর্ট ভবনে স্থাপিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাঈদী উপস্থিতিতেই অভিযোগ গটনের শুনানি চলে। আদালতের কার্যক্রম মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগের মুখে থাকা সাঈদীকে গ্রেপ্তার করা হয় ২০১০ সালের ২৯ জুন। তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যার বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার মামলায় অভিযোগ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সাবেক সংসদ সদস্য সাঈদী ছাড়াও জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতাসহ চার জন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার রয়েছেন। তারা হলেন-দলের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামরুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্ল¬া।
এছাড়া দুই বিএনপি নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী আটক থাকলেও জিয়াউর রহমান আমলের মন্ত্রী আব্দুল আলীম শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন।
0 comments:
Post a Comment