পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের 'সমস্যা' শুনেছে ডিএসই। এসব বিষয়ে নিজস্ব পরামর্শসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির সঙ্গে আলোচনা করবে সংস্থাটি।
রোববার ৩০টি ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে রোববার দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সভাপতি শাকিল রিজভী।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তারা বেশকিছু সমস্যার কথা বলেছেন। প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে তারল্য সংকট। তারা সবাই এই সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়া সুদের হার অনেক বেশি। ফলে নতুন করে অনেকেই বিনিয়োগে যেতে পারছেন না।"
"ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ব্যবসা-ব্যয় (কস্ট অব ডুইং বিজনেস) অনেক বেশি," উল্লেখ করে ডিএসই সভাপতি বলেন, "এটা কমিয়ে আনা দরকার। এছাড়া সরকারের ট্যাক্স ও সিডিবিএল চার্জও কমানোর অনুরোধ করেছেন তারা।"
"মার্চেন্ট ব্যাংকের সিঙ্গেল পার্টি এক্সপোজারের সমন্বয়ের যে নির্দেশনা ছিল, এটির কারণেও বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এত স্বল্প সময়ে আসলে এটা করা সম্ভব না। এক্ষেত্রে আরো সময় বাড়ানো দরকার।"
পুঁজিবাজারে দরপতনের ধারা অব্যাহত থাকায় রোববার বিক্ষোভ করেছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার (গত ০৮ সেপ্টেম্বর) ডিএসইতে লেনদেন হয় ২৪১ কোটি টাকা যা গত সাড়ে সাত মাসের মধ্যে সর্বনিু।
রোববারের সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএসই পরিচালক ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের সভাপতি সালমান এফ রহমান, ডিএসই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্বে) অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জহুরুল আলম।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ লি., আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লি., আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লি., ব্রাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লি., পিএফআই সিকিউরিটিজ লি., এমটিবি সিকিউরিটিজ লি., ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ লি., উইফেং সিকিউরিটিজ লি., শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লি., এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস লি., বিএলআই সিকিউরিটিজ লি., ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজ লি., মাল্টি সিকিউরিটি এন্ড সার্ভিস লি., এনবিএল সিকিউরিটিজ লি., এনসিসিব্যাংক সিকিউরিটিজ এন্ড ফাইন্যান্সসিয়াল সার্ভিসেস লি., রিলায়েন্স ব্রোকারেজ লি., এবি সিকিউরিটিজ লি., দি সিটি ব্যাংক লি., রয়েল ক্যাপিটাল লি., সিএমএসএল সিকিউরিটিজ লি., ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ লি., মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ লি., ফারইস্ট স্টক এন্ড বন্ডস লি., আইএফআইসি সিকিউরিটিজ লি., আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ লি., ভিশন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লি., সালটা ক্যাপিটাল লি., হাজি আহমেদ ব্রাদারস সিকিউরিটিজ লি., মশিউর রহমান লি., এসইএস কোম্পানী লি.।
'কালো টাকা' বিনিয়োগ প্রসঙ্গ
পুঁজিবাজারে 'কালো টাকা' বিনিয়োগ প্রসঙ্গে ডিএসই শাকিল রিজভী বলেন, "কালো টাকা বিনিয়োগ নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি মনে করি, সরকারের বাজেটে বলা কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়টি বহাল রয়েছে। ১০ ভাগ টাকা ট্যাক্স দিয়ে যে কেউ কালো টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন।
"প্রয়োজনে আমরা সরকারের কাছ থেকে এ বিষয়ে আরো পরিষ্কার বক্তব্য আনব।"
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের 'চাপে' চলতি অর্থবছরের বাজেটে ১০ শতাংশ কর দিয়ে শেয়ার বাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
'কালো টাকা' বিনিয়োগের সুবিধা দেওয়ার পর বাজার সক্রিয় হয়ে ওঠে।
পুঁজিবাজারে কোন্ প্রক্রিয়ায় অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হবে তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের জন্য সরকারকে তাগিদ গত জুলাইয়ে দেয় আন্তঃসরকার সংস্থা এশিয়া প্যাসিফিক গ্র"প অন মানি লন্ডারিং (এপিজিএমএল)।
থাইল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন এপিজিএমএল মুদ্রাপাচার প্রতিরোধে কাজ করে। বাংলাদেশও এ সংগঠনের সদস্য।
শাকিল জানান, মিউচুয়াল ফান্ডগুলো মার্কেটে ঠিকভাবে সক্রিয় রয়েছে কি না, সেটি দেখার জন্যে তারা এসইসিকে অনুরোধ করবেন।
"এছাড়া যারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছেন, এটা যাতে আমানত হিসাবে বিবেচনা করা হয়, সেরকম পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ এসেছে। সেটিও আমরা বিবেচনা করব।"
নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইন নিয়ে অনেকে শঙ্কিত জানিয়ে এসইসি সভাপতি বলেন, "তারা আশঙ্কা করছেন নতুন আইনে বর্তমানের অনেক শেয়ার সমন্বয় করতে হতে পারে। এই বিষয়টিও বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।"
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসই'র জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আহসানুল ইসলাম বলেন, "আমরা মনে করি না বাজারের অবস্থা খুব খারাপ। বরং মার্কেটের পিই, অনেক প্রতিষ্ঠানের পিই বিনিয়োগের উপযুক্ত। আমরা মনে করি, বাজারে যে পরিমাণ সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকা দরকার, সেটা নেই।
"টার্নওভার কমে যাওয়ায় একটা সাময়িক ক্ষতি হচ্ছে। এই অংশগ্রহণ কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটির জন্যেই আমাদের এই আলোচনা।"
রোববার ৩০টি ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে রোববার দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সভাপতি শাকিল রিজভী।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তারা বেশকিছু সমস্যার কথা বলেছেন। প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে তারল্য সংকট। তারা সবাই এই সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়া সুদের হার অনেক বেশি। ফলে নতুন করে অনেকেই বিনিয়োগে যেতে পারছেন না।"
"ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ব্যবসা-ব্যয় (কস্ট অব ডুইং বিজনেস) অনেক বেশি," উল্লেখ করে ডিএসই সভাপতি বলেন, "এটা কমিয়ে আনা দরকার। এছাড়া সরকারের ট্যাক্স ও সিডিবিএল চার্জও কমানোর অনুরোধ করেছেন তারা।"
"মার্চেন্ট ব্যাংকের সিঙ্গেল পার্টি এক্সপোজারের সমন্বয়ের যে নির্দেশনা ছিল, এটির কারণেও বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এত স্বল্প সময়ে আসলে এটা করা সম্ভব না। এক্ষেত্রে আরো সময় বাড়ানো দরকার।"
পুঁজিবাজারে দরপতনের ধারা অব্যাহত থাকায় রোববার বিক্ষোভ করেছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার (গত ০৮ সেপ্টেম্বর) ডিএসইতে লেনদেন হয় ২৪১ কোটি টাকা যা গত সাড়ে সাত মাসের মধ্যে সর্বনিু।
রোববারের সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএসই পরিচালক ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের সভাপতি সালমান এফ রহমান, ডিএসই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্বে) অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জহুরুল আলম।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ লি., আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লি., আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লি., ব্রাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লি., পিএফআই সিকিউরিটিজ লি., এমটিবি সিকিউরিটিজ লি., ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ লি., উইফেং সিকিউরিটিজ লি., শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লি., এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস লি., বিএলআই সিকিউরিটিজ লি., ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজ লি., মাল্টি সিকিউরিটি এন্ড সার্ভিস লি., এনবিএল সিকিউরিটিজ লি., এনসিসিব্যাংক সিকিউরিটিজ এন্ড ফাইন্যান্সসিয়াল সার্ভিসেস লি., রিলায়েন্স ব্রোকারেজ লি., এবি সিকিউরিটিজ লি., দি সিটি ব্যাংক লি., রয়েল ক্যাপিটাল লি., সিএমএসএল সিকিউরিটিজ লি., ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ লি., মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ লি., ফারইস্ট স্টক এন্ড বন্ডস লি., আইএফআইসি সিকিউরিটিজ লি., আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ লি., ভিশন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লি., সালটা ক্যাপিটাল লি., হাজি আহমেদ ব্রাদারস সিকিউরিটিজ লি., মশিউর রহমান লি., এসইএস কোম্পানী লি.।
'কালো টাকা' বিনিয়োগ প্রসঙ্গ
পুঁজিবাজারে 'কালো টাকা' বিনিয়োগ প্রসঙ্গে ডিএসই শাকিল রিজভী বলেন, "কালো টাকা বিনিয়োগ নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি মনে করি, সরকারের বাজেটে বলা কালো টাকা বিনিয়োগের বিষয়টি বহাল রয়েছে। ১০ ভাগ টাকা ট্যাক্স দিয়ে যে কেউ কালো টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন।
"প্রয়োজনে আমরা সরকারের কাছ থেকে এ বিষয়ে আরো পরিষ্কার বক্তব্য আনব।"
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের 'চাপে' চলতি অর্থবছরের বাজেটে ১০ শতাংশ কর দিয়ে শেয়ার বাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
'কালো টাকা' বিনিয়োগের সুবিধা দেওয়ার পর বাজার সক্রিয় হয়ে ওঠে।
পুঁজিবাজারে কোন্ প্রক্রিয়ায় অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হবে তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের জন্য সরকারকে তাগিদ গত জুলাইয়ে দেয় আন্তঃসরকার সংস্থা এশিয়া প্যাসিফিক গ্র"প অন মানি লন্ডারিং (এপিজিএমএল)।
থাইল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন এপিজিএমএল মুদ্রাপাচার প্রতিরোধে কাজ করে। বাংলাদেশও এ সংগঠনের সদস্য।
শাকিল জানান, মিউচুয়াল ফান্ডগুলো মার্কেটে ঠিকভাবে সক্রিয় রয়েছে কি না, সেটি দেখার জন্যে তারা এসইসিকে অনুরোধ করবেন।
"এছাড়া যারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছেন, এটা যাতে আমানত হিসাবে বিবেচনা করা হয়, সেরকম পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ এসেছে। সেটিও আমরা বিবেচনা করব।"
নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইন নিয়ে অনেকে শঙ্কিত জানিয়ে এসইসি সভাপতি বলেন, "তারা আশঙ্কা করছেন নতুন আইনে বর্তমানের অনেক শেয়ার সমন্বয় করতে হতে পারে। এই বিষয়টিও বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।"
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসই'র জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আহসানুল ইসলাম বলেন, "আমরা মনে করি না বাজারের অবস্থা খুব খারাপ। বরং মার্কেটের পিই, অনেক প্রতিষ্ঠানের পিই বিনিয়োগের উপযুক্ত। আমরা মনে করি, বাজারে যে পরিমাণ সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকা দরকার, সেটা নেই।
"টার্নওভার কমে যাওয়ায় একটা সাময়িক ক্ষতি হচ্ছে। এই অংশগ্রহণ কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটির জন্যেই আমাদের এই আলোচনা।"
0 comments:
Post a Comment