SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

বিদ্রোহ: সিগন্যাল সেক্টরের ১৮২ জনের সাজা

Posted by methun

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সিগন্যাল সেক্টরের ১৮৭ জওয়ানের মধ্যে খালাস পেয়েছেন পাঁচ জন। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সাজা ৭ বছর কারাদণ্ড হয়েছে ২০ জনের।

সোমবার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে দরবার হলে বিশেষ আদালত-৮ এর প্রধান ও বিজিবি'র উপ-মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সায়ীদ খান রায় দেন।

রায়ে সর্বনিু চার মাস সাজা হয়েছে পাঁচ জনের। কারাদণ্ডের পাশাপাশি সবার ১০০ টাকা করে জরিমানাও হয়েছে।

দণ্ডাদেশ রায় ঘোষণার সময় থেকে কার্যকর হবে বলে বিচারক জানিয়েছেন।

২০১০ সালের ৬ মে বিশেষ আদালত-৬ এ সিগন্যাল সেক্টরের ১৮৭ বিডিআর সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নায়েব সুবেদার আর এম মো. নিয়ামত উল্লাহ খন্দকার।

বিদ্রোহের বিচার কার্যক্রম তরান্বিত করতে বিশেষ আদালত পুনর্গঠনের পর মামলাটি বিশেষ আদালত-৮ এ স্থানান্তর করা হয়।

চলতি বছরের ১৩ ফেব্র"য়ারি এ বিদ্রোহ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়ে ৪ মে শেষ হয়। এতে ৭৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও তাদের জেরা করা হয়। ১৮৭ আসামির মধ্যে দুই কার্যদিবসে ১৩ জন আসামির পক্ষে দুই সেনা কর্মকর্তাসহ ২২ জন সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন।

ঢাকার ১১টি ইউনিটের বিরুদ্ধে করা মামলার মধ্যে এ পর্যন্ত চারটির রায় হয়েছে। যার মধ্যে ঢাকা সেক্টরের ৮৬ জনের মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিত হয়েছেন ৮৪ জন। দুজন মারা গেছেন।

২৪ রাইফেল ব্যাটালিয়ানের ৬৬৬ জনের মধ্যে ৬৫৭ জন বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিত হয়েছেন। ৯ জন খালাস পেয়েছেন। রাইফেল সিকিউরিটি ইউনিটের (আরএসইউ বর্তমানে বিজিবি সিকিউরিটি ইউনিট) ১১৩ জনের মধ্যে ১০৯ জনের সাজা হয়েছে। ছাড়া পেয়েছেন চার জন। এবং রেকর্ড উইংয়ের ১১১ জনের সবাই দণ্ডিত হয়েছেন।

২০০৯ সালের ফেব্র"য়ারির শেষ দিকে পিলখানায় জওয়ানদের সশস্ত্র বিদ্রোহে প্রাণ হারান অর্ধশতাধিক সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন। এরপর বিডিআর আইনে বিদ্রোহের বিচার করতে বেশ কয়েকটি আদালত গঠন করা হয়।

পিলখানায় হত্যা-লুণ্ঠনের বিচার হচ্ছে প্রচলিত আইনে। বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নাম বিডিআর থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি করা হয়।

0 comments:

Post a Comment