SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

ফেইসবুক নিয়ে হীরণের দাবি অসত্য: বন্ধু

Posted by methun

ফেইসবুকে নিজের ওয়ালে কনে ফারজানা ইয়াসমিনকে বিদ্রুপ করে তালাক পাওয়া বর শওকত আলী খান হীরণের পোস্টটি তারই লেখা বলে জানিয়েছেন তার এক বন্ধু।

 কার্যালয়ে এসে এক প্রশ্নের উত্তরে হীরণ দাবি করেন, ফারজানাকে বিদ্রুপ করে লেখা পোস্টটি তার নয়। সেটি করেছেন তার এক বন্ধু।

হীরণের ফেইসবুক ওয়ালে ফারজানার ছবিসহ লেখা হয়, "এই সেই কন্যা সাহসিকা নিপা, বিয়ের নামে যে ব্যবসার ফাঁদ পেতেছে।"

নিপা ফারজানার ডাক নাম।

সেখানে ফারজানার দুটি মোবাইল ফোন নম্বরও প্রকাশ করা হয়।

ওই পোস্টে ফারজানার চরিত্র নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যকারী জনৈকা নীলা রহমানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে তিনি চেনেন না।

 কার্যালয়ে হীরণের উপস্থিতিতেই ফোন করে জানতে চাওয়া হলে তার বন্ধুটি জানান, ওই পোস্ট তিনি দেননি। তবে হীরণ তাকে তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দিয়েছে বলে জানান তিনি।

বন্ধুর অস্বীকৃতির পর হীরণ বলেন, "অস্বীকার করলে আর কি করা।"



নিজেকে প্রযুক্তিবান্ধব ও আধুনিক তরুণ দাবি করে হীরণ বলেন, ল্যাপটপ সঙ্গে নিয়েই কনের বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। বিয়ে পড়ানোর পর বিয়ের খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের জন্য দুই সাংবাদিক বন্ধুর কাছে মেইল করেন তিনি। তার দাবি সে খবর ছাপাও হয়েছে।

বিয়ের আসর থেকে ১১-১১-১১ তারিখে বেলা ১১টা ১১মিনিট ১১ সেকেন্ডে বিয়ে করে নিজের অনুভূতির কথা ফেইসবুক স্ট্যাটাসে জানান তিনি।

তিনি বলেন, "আপনারাই বলুন, আমার মতো একজন আধুনিক কিভাবে যৌতুক চাইতে পারে, যে কিনা নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনের জন্য পুরস্কৃত হয়েছে।"

হীরণের বন্ধুর মেইল

শওকত আলী খান হীরণের সঙ্গে স্কাউটিং করতে গিয়ে পরিচয় হলেও আমরা বরিশালের বিএম কলেজে সহপাঠী ছিলাম। ও আমার এক বছর আগে প্রেসিডেন্ট'স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড পায়। সেই থেকে বন্ধুত্ব আছে।

ওর বিয়েটা ভেঙে যাওয়ায় আমরা পিআরএস (প্রেসিডেন্টস রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড) বন্ধুরা দুঃখ পেয়েছি।

আমি ওর বিয়ে ভেঙে যাওয়া নিয়ে ফেইসবুকে এ স্ট্যাটাস দিয়েছি এবং ওর বিরুদ্ধে সবাই ক্ষেপে গেছে দেখে ব্যাপারটা ওকে জানিয়েছি।

কথা শুনে গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে ও আমাকে ওর ফেইসবুক আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে বলেছে, আমি যেন যতদূর পারি সবার প্রশ্নের উত্তর দিই। বন্ধুর বিপদ দেখে আমি না করতে পারিনি।

কিন্তু আমার মেয়ের জ্বর ও অন্যান্য ব্যস্ততায় গতকাল দুপুর পর্যন্ত আমি ফেইসবুক খুলিনি।

দুপুরের দিকে ও ফোন করে বলল, তুই কি আমার অ্যাকাউন্ট খুলেছিস? আমি বললাম- না। তখন হীরণ বললো, আমি ওই মেয়ের একটা ছবি ও ফোন নম্বর পোস্ট দিয়েছি। তাই সবাই ক্ষেপে গেছে। আমি ছবি রিমুভ করার চেষ্টা করেছি হয়েছে কি না জানি না। তুই একটু দেখ।

আমি অ্যাকাউন্ট খুলে দেখি সবাই ওকে নানা প্রশ্ন করছে। তাই ওকে ফোন দিয়ে ব্যাপারটা জানালাম। ও বললো, আমার মাথা ঠিক নেই তুই আমার হয়ে সরি বলে দে।

আমি সরি বলে একটা স্ট্যাটাস দিলাম। এরপর অনেক আজেবাজে কথা সবাই লিখল। আমি খুব ভয় আর লজ্জা পেয়ে হীরণকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুই এই কাজটা কেন করলি? ও বললো, আমার মাথার কি ঠিক আছে!!! আমি কি করতে কি করি নিজেও জানি না। কতক্ষণ মাথা ঠিক রাখা যায়- তুই ছবি ডিলেট করে দে।

তখন আমি ছবি ডিলেট করতে না পেরে আমার হাজব্যান্ডকে ফোন দিয়ে ব্যাপারটা জানাতে ও পাসওয়ার্ড নিয়ে ছবিটা ডিলেট করে দেয় এবং রেগে গিয়ে হীরণের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়।

আমি কখনো ভাবিনি আমার এই বন্ধু এতো গোপনীয় একটা কথা সংবাদ মাধ্যমে জানাতে পারে বা আমাকেও বিপদে ফেলতে পারে।

আমি বন্ধুর বিপদে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। ফেইসবুকের আজেবাজে কমেন্ট থেকে ওকে রক্ষার জন্য ওরই অনুরোধে ওর অ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম। এখন দেখছি, ও আমাকে দোষী বানাচ্ছে।

আমি তো ফারজানাকে চিনি না, ওর কোনো ফোন নম্বর বা ছবি আমার কাছে নেই।

আমার সাথে হীরণের ফোনে যা যা কথা হয়েছে সেগুলো চেক করলেই আসল ঘটনাটা জানা যাবে।

তাছাড়া ফেইসবুকে কখন, কোন পোস্ট, কোন জায়গা থেকে করা হয়েছে তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে সেটা উদ্ধার করা অবশ্যই সম্ভব।

0 comments:

Post a Comment