বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার পালিত হচ্ছে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী।
মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে আমৃত্যু সংগ্রামের জন্য 'মজলুম জননেতা' হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই নেতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বলেছেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলেই তার বিশ্বাস।
মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ভাসানী ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মারা যান। সিরাজগঞ্জের এই সন্তান রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্যবার জেল খেটেছেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানসহ এই জনপদের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি।
তার মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি এক বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। তিনি শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ মওলানা ভাসানী বাঙালি জাতিসত্ত্বার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
শোষণ ও বঞ্চনাহীন এবং প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে তার অবদানের কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধনগড়া গ্রামে জন্ম নেওয়া আব্দুল হামিদ খান ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ভাসান চরে কৃষক সম্মেলনে ভাসানী উপাধি পান।
১৯৪৪ সালে আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পাঁচ বছর পর ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তিনি তৎকালীন পূর্ব বাংলায় গঠন করেন আওয়ামী মুসলিম লীগ।
আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হলেও আদর্শিক মতান্তরে পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) নামে নতুন দল গঠন করেন।
মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচি
সকালে শহীদ আসাদ পরিষদ ও বাংলাদেশ গরীব মুক্তি আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজেয় বাংলার সামনে থেকে প্রভাতফেরি বের করে। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মওলানা ভাসানীর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ ছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজন করেছে আলোচনা সভা।
বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা মঞ্চে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ ও মওলানা ভাসানী' শীর্ষক আলোচনা সভা এবং কবিতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে।
সাড়ে ৩টায় জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ এই জননেতার স্মরণে মুক্তি ভবনে আয়োজন করেছে আলোচনা সভা।
অন্যদিকে টাঙ্গাইলে তার সমাধির সামনে রোববার থেকে পাঁচ দিনব্যাপী শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি ও কৃষিবিষয়ক মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে আমৃত্যু সংগ্রামের জন্য 'মজলুম জননেতা' হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই নেতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বলেছেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলেই তার বিশ্বাস।
মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ভাসানী ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মারা যান। সিরাজগঞ্জের এই সন্তান রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্যবার জেল খেটেছেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানসহ এই জনপদের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি।
তার মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি এক বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। তিনি শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ মওলানা ভাসানী বাঙালি জাতিসত্ত্বার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
শোষণ ও বঞ্চনাহীন এবং প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে তার অবদানের কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধনগড়া গ্রামে জন্ম নেওয়া আব্দুল হামিদ খান ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ভাসান চরে কৃষক সম্মেলনে ভাসানী উপাধি পান।
১৯৪৪ সালে আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পাঁচ বছর পর ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তিনি তৎকালীন পূর্ব বাংলায় গঠন করেন আওয়ামী মুসলিম লীগ।
আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হলেও আদর্শিক মতান্তরে পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) নামে নতুন দল গঠন করেন।
মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচি
সকালে শহীদ আসাদ পরিষদ ও বাংলাদেশ গরীব মুক্তি আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজেয় বাংলার সামনে থেকে প্রভাতফেরি বের করে। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মওলানা ভাসানীর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ ছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজন করেছে আলোচনা সভা।
বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা মঞ্চে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ ও মওলানা ভাসানী' শীর্ষক আলোচনা সভা এবং কবিতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে।
সাড়ে ৩টায় জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ এই জননেতার স্মরণে মুক্তি ভবনে আয়োজন করেছে আলোচনা সভা।
অন্যদিকে টাঙ্গাইলে তার সমাধির সামনে রোববার থেকে পাঁচ দিনব্যাপী শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি ও কৃষিবিষয়ক মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment