পদ্মা সেতু নিয়ে জট শিগগিরই খুলছে না বলে ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তার কথায় স্পষ্ট হয়েছে, যদিও সরকার দ্রুতই জটিলতার অবসান আশা করে আসছে।
প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন স্থগিত করেছে। ২৯০ কোটি ডলার ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণে এ সংস্থাটির ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা।
পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতার মধ্যেই বুধবার অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেকের সঙ্গে দেখা করেন ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি অ্যালেন গোল্ডস্টেইন।
জটিলতার আশু অবসান ঘটছে কি না- জানতে চাওয়া হলে গোল্ডস্টেইন বলেন, "রাতারাতি এ সমস্যার সমাধান সম্ভবপর নয়। এ জন্য সময় প্রয়োজন।"
"এটা একটি বড় প্রকল্প, অনেক অর্থের ব্যাপার। তাই বিশ্বব্যাংক চায়, এ অর্থ খরচে যেন স্বচ্ছতা থাকে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না," বলেন তিনি।
মন্ত্রণালয়ের এক জন কর্মকর্তা জানান, পদ্মা সেতুর বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে সরকার যে চিঠি পাঠিয়েছিলো, তার জবাব অর্থমন্ত্রীর কাছে এসেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, "আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু নেই।"
গোল্ডস্টেইন বলেন, "আমাদের হেড কোয়ার্টার থেকে ৪ নভেম্বর চিঠির (বাংলাদেশ সরকারের) উত্তর পাঠানো হয়েছে।"
পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংক তাদের অর্থায়ন স্থগিত করার পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বার বার বলে আসছিলেন, খুব শিগগিরই জটিলতার সমাধান হয়ে যাবে।
গত মাসের শেষ ভাগেও তিনি বলেছিলেন, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই বিষয়টির সুরাহা হবে।
সেতু নির্মাণ কাজ পর্যবেক্ষণের জন্য পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি কানাডীয় কোম্পানি নীতিবহির্ভূত কাজ করেছে বলে বিশ্বব্যাংকের তদন্তে উঠে এসেছে, যা কানাডা সরকার তদন্ত করছে।
এর পরপরই বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের এ পর্যন্ত বৃহত্তম এ নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে জটিলতা দেখা দিলে গত ২০ অক্টোবর এক প্রেসনোটে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে সরকার। এতে বলা হয়, প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন স্থগিতের সিদ্ধান্ত সরকার যথাযথ বলে মনে করছে না। সংস্থাটিকে তাদের এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। এতে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতাও প্রত্যাশা করা হয়েছে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের মূল অর্থায়নের পাশাপাশি এডিবি ৬১ কোটি, জাইকা ৪০ কোটি এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ১৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। বাকি অর্থ দেবে সরকার।
পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন স্থগিতের জন্য সরকারের 'দুর্নীতিকে' দায়ী করে বক্তব্য দিয়ে আসছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। এর পাল্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আমলে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির জন্য পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন স্থগিত করেছে বিশ্বব্যাংক।
প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন স্থগিত করেছে। ২৯০ কোটি ডলার ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণে এ সংস্থাটির ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা।
পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতার মধ্যেই বুধবার অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেকের সঙ্গে দেখা করেন ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি অ্যালেন গোল্ডস্টেইন।
জটিলতার আশু অবসান ঘটছে কি না- জানতে চাওয়া হলে গোল্ডস্টেইন বলেন, "রাতারাতি এ সমস্যার সমাধান সম্ভবপর নয়। এ জন্য সময় প্রয়োজন।"
"এটা একটি বড় প্রকল্প, অনেক অর্থের ব্যাপার। তাই বিশ্বব্যাংক চায়, এ অর্থ খরচে যেন স্বচ্ছতা থাকে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না," বলেন তিনি।
মন্ত্রণালয়ের এক জন কর্মকর্তা জানান, পদ্মা সেতুর বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে সরকার যে চিঠি পাঠিয়েছিলো, তার জবাব অর্থমন্ত্রীর কাছে এসেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, "আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু নেই।"
গোল্ডস্টেইন বলেন, "আমাদের হেড কোয়ার্টার থেকে ৪ নভেম্বর চিঠির (বাংলাদেশ সরকারের) উত্তর পাঠানো হয়েছে।"
পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংক তাদের অর্থায়ন স্থগিত করার পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বার বার বলে আসছিলেন, খুব শিগগিরই জটিলতার সমাধান হয়ে যাবে।
গত মাসের শেষ ভাগেও তিনি বলেছিলেন, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই বিষয়টির সুরাহা হবে।
সেতু নির্মাণ কাজ পর্যবেক্ষণের জন্য পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি কানাডীয় কোম্পানি নীতিবহির্ভূত কাজ করেছে বলে বিশ্বব্যাংকের তদন্তে উঠে এসেছে, যা কানাডা সরকার তদন্ত করছে।
এর পরপরই বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের এ পর্যন্ত বৃহত্তম এ নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে জটিলতা দেখা দিলে গত ২০ অক্টোবর এক প্রেসনোটে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে সরকার। এতে বলা হয়, প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন স্থগিতের সিদ্ধান্ত সরকার যথাযথ বলে মনে করছে না। সংস্থাটিকে তাদের এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। এতে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতাও প্রত্যাশা করা হয়েছে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের মূল অর্থায়নের পাশাপাশি এডিবি ৬১ কোটি, জাইকা ৪০ কোটি এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ১৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। বাকি অর্থ দেবে সরকার।
পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন স্থগিতের জন্য সরকারের 'দুর্নীতিকে' দায়ী করে বক্তব্য দিয়ে আসছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। এর পাল্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আমলে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির জন্য পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন স্থগিত করেছে বিশ্বব্যাংক।
0 comments:
Post a Comment