শহীদ নূর হোসেন দিবস বৃহস্পতিবার। ১৯৮৭ সালের এই দিনে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে রাজধানীর 'জিরো পয়েন্টে' পুলিশের গুলিতে নিহত হন যুবলীগকর্মী নূর হোসেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বুধবার এক বাণীতে বলেছেন, নূর হোসেনের মতো শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সেই দিনে বুকে-পিঠে 'স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক'- স্লোগান লিখে মিছিলে শামিল হয়েছিলেন নূর হোসেন।
নূর হোসেন ছাড়াও সেই আন্দোলনে আরেক যুবলীগ নেতা নূরুল হুদা বাবুল এবং কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তাদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন তীব্র হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।
তারপর থেকেই ১০ নভেম্বর পালিত হচ্ছে নূর হোসেন দিবস হিসেবে। আর জিরো পয়েন্টের নামকরণ হয়েছে নূর হোসেন চত্বর।
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান তার বাণীতে বলেন, "গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শহীদ নূর হোসেন এক উজ্জ্বল নাম। নূর হোসেনের রক্ত বৃথা যায়নি। তার আত্মাহুতির ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মাটিতে নূর হোসেনের মতো সাহসী মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে, ততোদিন এদেশের গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হবে না।"
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, "নূর হোসেনসহ অসংখ্য শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পেয়েছিল।"
"গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বাবুল, ফাত্তাহসহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল," যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারন খালেদা জিয়া এক বিবৃতিতে বলেন, "আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। তবে যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে জীবন উৎসর্গ করে ছিলেন তিনি; সে স্বপ্ন আজো পুরোপুরি সফল হয়নি।"
"গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদ নূর হোসেন আমাদের প্রেরণা। এ দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে একটি মুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে," যোগ করেন বিরোধী দলীয় নেতা।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সংগঠনের সব শাখাসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শহীদ নূর হোসেন সংসদ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, যুব গণফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে কর্মসূচি নিয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বুধবার এক বাণীতে বলেছেন, নূর হোসেনের মতো শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সেই দিনে বুকে-পিঠে 'স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক'- স্লোগান লিখে মিছিলে শামিল হয়েছিলেন নূর হোসেন।
নূর হোসেন ছাড়াও সেই আন্দোলনে আরেক যুবলীগ নেতা নূরুল হুদা বাবুল এবং কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তাদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন তীব্র হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।
তারপর থেকেই ১০ নভেম্বর পালিত হচ্ছে নূর হোসেন দিবস হিসেবে। আর জিরো পয়েন্টের নামকরণ হয়েছে নূর হোসেন চত্বর।
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান তার বাণীতে বলেন, "গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শহীদ নূর হোসেন এক উজ্জ্বল নাম। নূর হোসেনের রক্ত বৃথা যায়নি। তার আত্মাহুতির ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মাটিতে নূর হোসেনের মতো সাহসী মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে, ততোদিন এদেশের গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হবে না।"
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, "নূর হোসেনসহ অসংখ্য শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পেয়েছিল।"
"গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বাবুল, ফাত্তাহসহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল," যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারন খালেদা জিয়া এক বিবৃতিতে বলেন, "আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। তবে যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে জীবন উৎসর্গ করে ছিলেন তিনি; সে স্বপ্ন আজো পুরোপুরি সফল হয়নি।"
"গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদ নূর হোসেন আমাদের প্রেরণা। এ দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে একটি মুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে," যোগ করেন বিরোধী দলীয় নেতা।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সংগঠনের সব শাখাসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শহীদ নূর হোসেন সংসদ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, যুব গণফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে কর্মসূচি নিয়েছে।
0 comments:
Post a Comment