SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার স্থান

Posted by methun

রংগলাল সেনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ক্লাসে শুধু লেকচার দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার নেই। এর জন্য স্কুল-কলেজ এমনকি কোচিং সেন্টারই যথেষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান উন্মোচন করবেন। সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে জ্ঞানের বিস্তার করবেন। এতে নতুন প্রজন্ম পরিবর্তিত বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
গত শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক ড. রংগলাল সেনকে সংবর্ধনা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হল এলামনাই এসোসিয়েশন। এ সময় অধ্যাপক রংগলাল সেনকে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজের পরিবর্তন সম্ভব নয়। এজন্য দরকার নতুন শিক্ষা পদ্ধতি। আর এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বর্তমান সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরী করেছে। আধুনিক, প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ও যুগোপযোগী শিক্ষা সবার জন্য নিশ্চিত করতেই এ শিক্ষানীতি। তিনি বলেন, শুধুমাত্র আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করলেই ভালো মানুষ পাওয়া যাবে না। এজন্য দরকার শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন জনশক্তি তৈরী করা। আর শিক্ষকরাই আধুনিক শিক্ষার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম তৈরীর এ কাজ করবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষকদের সম্মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে চলছে। শিক্ষকদের বেতন সর্বোচ্চ হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, জাতীয় অধ্যাপক ড. রংগলাল সেন একজন সমাজ, রাজনীতি সচেতন, গণতন্ত্রকামী ও অসামপ্রদায়িক মানুষ। তিনি সব সময়ই শিক্ষার অগ্রযাত্রাসহ সমাজের সার্বিক উন্নয়নে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করছেন। ৬০’র দশকে এমন কিছু শিক্ষক ছিলেন যারা স্বৈরশাসনের ও তত্কালীন সরকারের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর তৈরী করেন। এ কণ্ঠস্বর সৃষ্টির পেছনে অন্যতম প্রধান সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন রংগলাল সেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী বলেন, ড. রংগলাল সেন এমন একজন মানুষ যার আলোতে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয় বরং সারাদেশ আলোকিত হয়েছে। ৭৫’ পরবর্তী সময়ে যতবার স্বৈরশাসকরা দেশের ক্ষমতা দখল করেছে ততবারই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। তিনি আমাদের আলোকবর্তিকা।
এসময় অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জাতীয় অধ্যাপক ড. রংগলাল সেন বলেন, পৃথিবীতে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মুক্ত বুদ্ধির চর্চা কেন্দ্র হিসেবে। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এ মন্ত্র নিয়ে। কিন্তু ১৯৪৭’র পরবর্তী সময়ে এ মন্ত্র থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয় সরে এসেছে।
জগন্নাথ হল এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি কানুতোষ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, অজয় দাশগুপ্ত, বীরেন্দ্র নাথ অধিকারী প্রমুখ।

0 comments:

Post a Comment