ভুল চিকিত্সার
অভিযোগ
রাজধানীর মিরপুরের একটি হাসপাতালে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষিকা তৃষ্ণা গাঙ্গুলি গতকাল শনিবার দুপুরে মারা গেছেন। পরিবার ও ছাত্রদের অভিযোগ, ভুল চিকিত্সায় শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। এর প্রতিবাদে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে। পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৩ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে। তৃষ্ণা গাঙ্গুলি মিরপুর কমার্স কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রসূতি তৃষ্ণা গাঙ্গুলিকে তার চিকিত্সক ফেরদৌসী রুবি’র পরামর্শে পরিবারের লোকজন গতকাল বেলা ১১টার দিকে মিরপুরের আজমল হাসপাতালে সিজারের জন্য ভর্তি করে। অস্ত্রোপচারের জন্য অজ্ঞান করতে তৃষ্ণা গাঙ্গুলিকে এনেসথেসিয়া ইনজেকশন দেয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃৃপক্ষ অস্ত্রোপচার শেষে তাকে লালমাটিয়ার এশিয়ান কার্ডিয়াক হাসপাতালে স্থানান্তর করে। ওই হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে নবজাতক সুস্থ আছে।
তৃষ্ণার স্বজন ও ছাত্ররা অভিযোগ করেছেন, অতিরিক্ত এনেসথেসিয়া দেয়ার কারণে তৃষ্ণা গাঙ্গুলির মৃত্যু হয়েছে। দায় এড়ানোর জন্য ওই হাসপাতাল কর্তৃৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে তাকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে। স্থানান্তরের সময় ওই হাসপাতাল থেকে চিকিত্সার কাগজ-পত্রও দেয়া হয়নি। এই খবর কলেজে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা আজমল হাসপাতালের ওই চিকিত্সকের বিচার দাবি-সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করে। মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াজেদ আলী ইত্তেফাককে জানান, দুুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে ভাঙচুরের পর ছাত্ররা রাস্তা বন্ধ করে মিরপুর ১০ নম্বরে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় তারা ১৫ থেকে ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। ফলে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১২ নম্বরমুখী সড়কে গাড়ি চলাচল দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিকাল ৪টার দিকে ছাত্ররা রাস্তা ছেড়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হয়।
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিন্টু কুমার বিশ্বাস জানান, ১৩ জন ছাত্রকে থানায় ধরে আনা হয়েছে। তবে তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাছাড়া হাসপাতাল কর্তৃৃপক্ষ বা কোনো গাড়ির মালিক বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।
ওসি আরো জানান, ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। হাসপাতাল এবং কলেজ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজমল হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর সহকারী অধ্যাপক তৃষ্ণা গাঙ্গুলির অবস্থার অবনতি হয় বলে শিক্ষার্থীরা তাকে জানিয়েছে। অন্য হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। তবে নবজাতক সুস্থ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আজমল হাসপাতালে ভুল চিকিত্সার কারণেই তৃষ্ণার মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে আজমল হাসপাতালের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
অভিযোগ
রাজধানীর মিরপুরের একটি হাসপাতালে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষিকা তৃষ্ণা গাঙ্গুলি গতকাল শনিবার দুপুরে মারা গেছেন। পরিবার ও ছাত্রদের অভিযোগ, ভুল চিকিত্সায় শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। এর প্রতিবাদে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে। পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৩ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে। তৃষ্ণা গাঙ্গুলি মিরপুর কমার্স কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রসূতি তৃষ্ণা গাঙ্গুলিকে তার চিকিত্সক ফেরদৌসী রুবি’র পরামর্শে পরিবারের লোকজন গতকাল বেলা ১১টার দিকে মিরপুরের আজমল হাসপাতালে সিজারের জন্য ভর্তি করে। অস্ত্রোপচারের জন্য অজ্ঞান করতে তৃষ্ণা গাঙ্গুলিকে এনেসথেসিয়া ইনজেকশন দেয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃৃপক্ষ অস্ত্রোপচার শেষে তাকে লালমাটিয়ার এশিয়ান কার্ডিয়াক হাসপাতালে স্থানান্তর করে। ওই হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে নবজাতক সুস্থ আছে।
তৃষ্ণার স্বজন ও ছাত্ররা অভিযোগ করেছেন, অতিরিক্ত এনেসথেসিয়া দেয়ার কারণে তৃষ্ণা গাঙ্গুলির মৃত্যু হয়েছে। দায় এড়ানোর জন্য ওই হাসপাতাল কর্তৃৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে তাকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে। স্থানান্তরের সময় ওই হাসপাতাল থেকে চিকিত্সার কাগজ-পত্রও দেয়া হয়নি। এই খবর কলেজে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা আজমল হাসপাতালের ওই চিকিত্সকের বিচার দাবি-সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করে। মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াজেদ আলী ইত্তেফাককে জানান, দুুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে ভাঙচুরের পর ছাত্ররা রাস্তা বন্ধ করে মিরপুর ১০ নম্বরে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় তারা ১৫ থেকে ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। ফলে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১২ নম্বরমুখী সড়কে গাড়ি চলাচল দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিকাল ৪টার দিকে ছাত্ররা রাস্তা ছেড়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হয়।
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিন্টু কুমার বিশ্বাস জানান, ১৩ জন ছাত্রকে থানায় ধরে আনা হয়েছে। তবে তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাছাড়া হাসপাতাল কর্তৃৃপক্ষ বা কোনো গাড়ির মালিক বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।
ওসি আরো জানান, ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। হাসপাতাল এবং কলেজ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজমল হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর সহকারী অধ্যাপক তৃষ্ণা গাঙ্গুলির অবস্থার অবনতি হয় বলে শিক্ষার্থীরা তাকে জানিয়েছে। অন্য হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। তবে নবজাতক সুস্থ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আজমল হাসপাতালে ভুল চিকিত্সার কারণেই তৃষ্ণার মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে আজমল হাসপাতালের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
0 comments:
Post a Comment