স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক বলেছেন, শুধু সচেতনতার অভাবেই বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজার হাজার শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যাচ্ছে।
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবসের একদিন আগে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, নিউমোনিয়া সম্পর্কে সচেতনতাই এসব শিশুদের বাঁচাতে পারে।
"শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিলে আপনার শিশুকে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে নিন।"
'পরিপ্রেক্ষিত' নামে একটি বেসরকারি সংস্থা রাজধানীতে নিউমোনিয়ার ওপর গণমাধ্যমে প্রতিবেদনের জন্য সাংবাদিকদের পুরস্কার দিতে ওই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
নিউমোনিয়ায় শিশুরা তীব্র জ্বরের পাশাপাশি শ্বাসকষ্টে ভোগে। ব্যাকটেরিয়ার কারণেই সাধারণত এ রোগ হয়ে থাকে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "ফুসফুস সংক্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ এখন সব জায়গায় পাওয়া যায় এবং সরকারি হাসপাতালগুলোতে তা বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।"
"কিন্তু কখন শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে সে বিষয়ে সঠিক জ্ঞান রাখে না বাবা-মা।"
এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ যারা সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হয় কিন্তু সংবাদপত্র পড়ে না তাদের কাছে পৌঁছানোর উপায় বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশে নিউমোনিয়ায় সবচেয়ে বেশি শিশুর মৃত্যু হয়। ব্যাপক মাত্রায় অপুষ্টি ও বিশুদ্ধ জীবনযাপনের অভাবে এ রোগ হয়ে থাকে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর ১৮ শতাংশই এ 'প্রাণঘাতী' ফুসফুস ব্যাধিতে হয়ে থাকে। এতে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৪ অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেখানে ২০১৫ সাল নাগাদ শিশু মৃত্যুর হার হাজারে ৪৮-এ নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে এ হার হাজারে ৬০ আছে।
শিশু রোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, পরিমিত মাতৃ দুগ্ধ পানে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে নিউমোনিয়া সংক্রমণের হার ১৫ থেকে ২৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
এছাড়া নিউমোকোক্কাস টিকা এ ব্যকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে শিশুকে দূরে রাখতে পারে। কিন্তু এ টিকা সরকারি শিশু টিকাদান কর্মসূচির মধ্যে নেই।
দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে এ টিকা দেওয়ার দাবি চলে আসলেও 'টিকার ওপর নির্ভর না করে বরং সচেতনতা সৃষ্টির' জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবসের একদিন আগে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, নিউমোনিয়া সম্পর্কে সচেতনতাই এসব শিশুদের বাঁচাতে পারে।
"শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিলে আপনার শিশুকে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে নিন।"
'পরিপ্রেক্ষিত' নামে একটি বেসরকারি সংস্থা রাজধানীতে নিউমোনিয়ার ওপর গণমাধ্যমে প্রতিবেদনের জন্য সাংবাদিকদের পুরস্কার দিতে ওই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
নিউমোনিয়ায় শিশুরা তীব্র জ্বরের পাশাপাশি শ্বাসকষ্টে ভোগে। ব্যাকটেরিয়ার কারণেই সাধারণত এ রোগ হয়ে থাকে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "ফুসফুস সংক্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ এখন সব জায়গায় পাওয়া যায় এবং সরকারি হাসপাতালগুলোতে তা বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।"
"কিন্তু কখন শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে সে বিষয়ে সঠিক জ্ঞান রাখে না বাবা-মা।"
এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ যারা সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হয় কিন্তু সংবাদপত্র পড়ে না তাদের কাছে পৌঁছানোর উপায় বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশে নিউমোনিয়ায় সবচেয়ে বেশি শিশুর মৃত্যু হয়। ব্যাপক মাত্রায় অপুষ্টি ও বিশুদ্ধ জীবনযাপনের অভাবে এ রোগ হয়ে থাকে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর ১৮ শতাংশই এ 'প্রাণঘাতী' ফুসফুস ব্যাধিতে হয়ে থাকে। এতে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৪ অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেখানে ২০১৫ সাল নাগাদ শিশু মৃত্যুর হার হাজারে ৪৮-এ নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে এ হার হাজারে ৬০ আছে।
শিশু রোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, পরিমিত মাতৃ দুগ্ধ পানে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে নিউমোনিয়া সংক্রমণের হার ১৫ থেকে ২৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
এছাড়া নিউমোকোক্কাস টিকা এ ব্যকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে শিশুকে দূরে রাখতে পারে। কিন্তু এ টিকা সরকারি শিশু টিকাদান কর্মসূচির মধ্যে নেই।
দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে এ টিকা দেওয়ার দাবি চলে আসলেও 'টিকার ওপর নির্ভর না করে বরং সচেতনতা সৃষ্টির' জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
0 comments:
Post a Comment