SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

যৌতুক চাওয়ায় বিয়ের আসরে বরকে তালাক

Posted by methun

বিয়ের ভোজ শেষে মেয়েকে বরের হাতে তুলে দেওয়ার সময় যৌতুক দাবি করায় তখনই বরকে তালাক দিয়েছেন কনে ফারজানা ইয়াসমিন।

ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে সমাজকল্যাণে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর পাস করা ফারজানা বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কালিপুরা গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে।

আর বর শওকত আলী খান ওরফে হীরন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি কলাপাড়া পৌরসভার মাদরাসা রোডের বাসিন্দা শাহ আলম খানের ছেলে।

ফারজানা জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার সঙ্গে শওকতের বিয়ে হয়। দুপুরে তার বাবার গ্রামের বাড়িতে হয় প্রীতিভোজ। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টায় মেয়েকে বরের হাতে তুলে দিতে যান ফারাজনার বাবা।

এ সময় বর শওকতের ফুফু তাহমিনা বেগম অতিথিদের সামনেই কনের বাবার কাছে যৌতুক হিসাবে টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য সামগ্রী দাবি করেন।

তাহমিনা বেগম কলাপাড়া সদরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

শওকতও এ সময় ফুফুর যৌতুকের দাবিতে সমর্থন দেওয়ায় সেখানেই তাকে তালাক দেন কনে ফারজানা।

আসরে সবার সামনে ফারজানা বলেন, "বিয়ের আসরে যে ছেলে যৌতুক চায়, তাকে জীবনসঙ্গী হিসাবে মেনে নিতে আমার রুচিতে বাঁধে।"

অতিথিরদের তিনি বলেন, "আমি আপনাদের সবার সামনে বলছি- আমি শওকতকে তালাক দিলাম।"

এমন ঘটনায় অতিথিদের সামনে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন বরের আত্মীয়স্বজন। রাত সাড়ে ৯য়টা পর্যন্ত তারা সমঝোতার জন্য দেন-দরবার চালালেও সিদ্ধান্তে অটল থাকেন ফারজানা। শেষ পর্যন্ত ফারজানার পরিবার বিয়ে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানিয়ে দেয়।

কুণ্ঠিত বরপক্ষ কনে ছাড়াই বিয়ে বাড়ি ছেড়ে বিদায় হয় শেষ পর্যন্ত।

ফারজানা  বলেন "যখন ছাত্রী ছিলাম তখন যৌতুকবিরোধী আন্দোলন করেছি। অন্যদের এর বিরুদ্ধে বুঝিয়েছি। আর আমার বিয়েতেই যৌতুক চাওয়া হলো!"

তার মতো সব মেয়েরই যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ ব্যাপারে শওকত হোসেনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

0 comments:

Post a Comment