পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে আমরণ অনশন শুরু করা ব্যক্তি শ্র্রেণীর বিনিয়োগকারীদের কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন দলের রাজনীতিবিদরা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ড. মঈন খান এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন অনশনরত বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
রোববার সকালে লেনদেন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ডিএসই ভবনের সামনে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই অনশন শুরু হয়। এতে অংশগ্রহণকারীদের অনেকের মাথায় কাফনের প্রতীক হিসাবে সাদা কাপড় বাঁধা দেখা যায়।
এক নারী বিনিয়োগকারীর হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা দেখা যায় 'আর কত? প্রতিবাদের ভাষা নাই।'
বিকেল ৩টায় লেনদেন শেষ হওয়ার আগে আগে বিনিয়োগকারীরা রাস্তার ওপর জড়ো হলে ডিএসইর সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে দুপুর পৌনে ২টার দিকে এরশাদ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ভবনের সামনে উপস্থিত হয়ে অনশনরত বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর ১৫ মিনিট আগে সেখানে যান বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন। তিনি বিনিয়োগকারীদের কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন।
এরপর সেখানে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মঈন খান ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব)-এর সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন।
এরশাদ বলেন, "আপনারা অনশন ভাঙেন। আমি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো।"
শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এর আগে চন্দন বলেন, "আমরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। বিনিয়োগকারীদের জন্য যা যা করা দরকার বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি তাই করবে।"
রোববার লেনদেন শেষে ডিএসইর সাধারক সূচক প্রায় ১৮১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৮৭ পয়েন্ট হয়। লেনদেন শুরুর আড়াই ঘণ্টার মাথায় সূচক কমেছিল ১৪৬ পয়েন্ট।
ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বাজার স্থিতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করা উচিৎ। এছাড়া গত বুধবার এসইসির সঙ্গে এনবিআরের বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে সে ব্যাপারে অবিলম্বে আদেশ জারি করতে হবে। বাজারে তারল্য সংকট বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ নিতে হবে।"
গত সপ্তাহেও ব্যাপক দরপতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয় ঢাকার পুঁজিবাজারে। সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার সাধারণ সূচক কমে প্রায় ১৯৪ পয়েন্ট। এরপর সোমবার ১৫ ও মঙ্গলবার ২২৬ পয়েন্ট কমে যায় সূচক। গত দু সপ্তাহে ডিএসই সাধারণ সূচক কমেছে ৩৪১ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট।
অব্যাহত দরপতনে রাস্তায় নামে ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা। দরপতন ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে তারা।
দরপতন এবং আন্দোলন বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ও পুঁজিবাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (এসইসি) কমিশনের চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন বুধবার দিনভর বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের খায়রুল হোসেন জানান, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পুনরায় আয়কর রেয়াত পাওয়া যাবে এবং ব্রোকারেজ কমিশনের উৎসে আয়কর কমানো হচ্ছে।
এছাড়া মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর আরোপিত কর কমানোর বিষয়টি এনবিআর বিবেচনা করছে বলে জানান তিনি।
ওইদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কমানোর প্রস্তাব দেয় এসইসি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ড. মঈন খান এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন অনশনরত বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
রোববার সকালে লেনদেন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ডিএসই ভবনের সামনে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই অনশন শুরু হয়। এতে অংশগ্রহণকারীদের অনেকের মাথায় কাফনের প্রতীক হিসাবে সাদা কাপড় বাঁধা দেখা যায়।
এক নারী বিনিয়োগকারীর হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা দেখা যায় 'আর কত? প্রতিবাদের ভাষা নাই।'
বিকেল ৩টায় লেনদেন শেষ হওয়ার আগে আগে বিনিয়োগকারীরা রাস্তার ওপর জড়ো হলে ডিএসইর সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে দুপুর পৌনে ২টার দিকে এরশাদ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ভবনের সামনে উপস্থিত হয়ে অনশনরত বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর ১৫ মিনিট আগে সেখানে যান বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন। তিনি বিনিয়োগকারীদের কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন।
এরপর সেখানে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মঈন খান ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব)-এর সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন।
এরশাদ বলেন, "আপনারা অনশন ভাঙেন। আমি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো।"
শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এর আগে চন্দন বলেন, "আমরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। বিনিয়োগকারীদের জন্য যা যা করা দরকার বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি তাই করবে।"
রোববার লেনদেন শেষে ডিএসইর সাধারক সূচক প্রায় ১৮১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৮৭ পয়েন্ট হয়। লেনদেন শুরুর আড়াই ঘণ্টার মাথায় সূচক কমেছিল ১৪৬ পয়েন্ট।
ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বাজার স্থিতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করা উচিৎ। এছাড়া গত বুধবার এসইসির সঙ্গে এনবিআরের বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে সে ব্যাপারে অবিলম্বে আদেশ জারি করতে হবে। বাজারে তারল্য সংকট বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ নিতে হবে।"
গত সপ্তাহেও ব্যাপক দরপতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয় ঢাকার পুঁজিবাজারে। সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার সাধারণ সূচক কমে প্রায় ১৯৪ পয়েন্ট। এরপর সোমবার ১৫ ও মঙ্গলবার ২২৬ পয়েন্ট কমে যায় সূচক। গত দু সপ্তাহে ডিএসই সাধারণ সূচক কমেছে ৩৪১ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট।
অব্যাহত দরপতনে রাস্তায় নামে ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা। দরপতন ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে তারা।
দরপতন এবং আন্দোলন বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ও পুঁজিবাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (এসইসি) কমিশনের চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন বুধবার দিনভর বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের খায়রুল হোসেন জানান, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পুনরায় আয়কর রেয়াত পাওয়া যাবে এবং ব্রোকারেজ কমিশনের উৎসে আয়কর কমানো হচ্ছে।
এছাড়া মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর আরোপিত কর কমানোর বিষয়টি এনবিআর বিবেচনা করছে বলে জানান তিনি।
ওইদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কমানোর প্রস্তাব দেয় এসইসি।
0 comments:
Post a Comment