নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে কয়েকদিনের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। দলের সমর্থন শামীম ওসমান পেলেও মেয়র পদে আওয়ামী লীগের অপর প্রার্থী ডা. আইভী এখনো তার অবস্থানে অনড়। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি তিনি, বরং অমান্য করেছেন কেন্দ্রের নির্দেশ। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে এখন আইভীর অবস্থান। মেয়র পদে প্রার্থিতা বহাল রেখে ডা. আইভী সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, কোনো চাপের কাছে আমি মাথা নত করব না। একটিমাত্র ভোট পেলেও আমি নির্বাচন থেকে সরব না। তিনি বলেন, জনগণের দাবির মুখে নির্বাচন করছি। দলসমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান বলেছেন, কেন্দ্রের সমর্থনেই তিনি নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। দলের সমর্থন নিয়েই মাঠে আছি। তৃণমূলের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দলের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচন করলে জনগণই তাকে প্রত্যাখ্যান করবে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একাধিক সূত্রও শামীম ওসমানকে দলের সমর্থনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্রমতে, গতকাল দলের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা আওয়ামী লীগের অপর দুই প্রার্থী এস এম আকরাম ও মাওলানা হাবিবুল্লাহ কাঁচপুরীকে শামীম ওসমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই নেতা একইভাবে ডা. আইভীকেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হাইকমান্ডের ইচ্ছার কথা জানান। এস এম আকরাম ও হাবিবুল্লাহ কাঁচপুরী দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে শামীম ওসমানের পক্ষে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। তবে ডা. আইভী দলীয় সিদ্ধান্তকে আমলে না নিয়ে অনেকটা বিদ্রোহী হিসেবেই অনড় থাকলেন নির্বাচনী মাঠে। সূত্রমতে, ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানকও দলের শীর্ষ পর্যায়ের ওই নেতার পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দলের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে গতকাল দিনভর নারায়ণগঞ্জের শহর-বন্দরজুড়েই ছিল নানা নাটকীয়তা। আওয়ামী লীগের সমর্থন কে পাচ্ছেন, তা নিয়ে চায়ের টেবিল থেকে সর্বত্র ছিল নানামুখী আলোচনা আর গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। নির্বাচন কমিশনের সামনে বেলা পৌনে ২টায় শামীম ওসমানের বিশাল কর্মীবাহিনী যখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ তখন হাবিবুল্লাহ কাঁচপুরী বললেন দলের প্রার্থী হিসেবে সমর্থন পেয়েছেন শামীম ওসমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে শামীম ওসমানের পক্ষে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলাম। এ সময় আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। কিছুক্ষণ পরই জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এস এম আকরামও একইভাবে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। ততক্ষণে নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী দীর্ঘ আকাক্সিক্ষত সেই শামীম ওসমান। আর আওয়ামী লীগের আকাক্সক্ষার বাইরে চলে গেছেন ডা. আইভী। শেষ মুহূর্তে আইভীর যদি নাটকীয় কোনো পরিবর্তন না আসে তাহলে আওয়ামী লীগের আগের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাকে রাজনৈতিকভাবে মূল্যায়নের বিষয়টিও অনিশ্চিত হতে যাবে। দলের একাধিক সিনিয়র নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এমনই আভাস দিয়েছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের সমর্থনের বাইরেও ডা. আইভী প্রার্থী থাকায় বিএনপি মেয়র পদে একমাত্র প্রার্থী নিয়ে লড়ছে। বিএনপিদলীয় মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার রয়েছেন কিছুটা ফুরফুরে মেজাজে। সরকারের ব্যর্থতাই তাকে সফলতা এনে দেবে বলে তৈমূর দাবি করেন। তিনি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহরে লক্ষাধিক নীরব ভোটার রয়েছেন, নির্বাচনে তারা ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দেবেন।
এদিকে আমাদের নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা রোমান চৌধুরী সুমন জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে গতকাল দুজন মেয়র ও ১৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বিশ্বাস বিকাল সাড়ে ৫টায় শহরের চাষাঢ়া ডাকবাংলায় অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একাধিক সূত্রও শামীম ওসমানকে দলের সমর্থনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্রমতে, গতকাল দলের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা আওয়ামী লীগের অপর দুই প্রার্থী এস এম আকরাম ও মাওলানা হাবিবুল্লাহ কাঁচপুরীকে শামীম ওসমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই নেতা একইভাবে ডা. আইভীকেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হাইকমান্ডের ইচ্ছার কথা জানান। এস এম আকরাম ও হাবিবুল্লাহ কাঁচপুরী দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে শামীম ওসমানের পক্ষে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। তবে ডা. আইভী দলীয় সিদ্ধান্তকে আমলে না নিয়ে অনেকটা বিদ্রোহী হিসেবেই অনড় থাকলেন নির্বাচনী মাঠে। সূত্রমতে, ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানকও দলের শীর্ষ পর্যায়ের ওই নেতার পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দলের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে গতকাল দিনভর নারায়ণগঞ্জের শহর-বন্দরজুড়েই ছিল নানা নাটকীয়তা। আওয়ামী লীগের সমর্থন কে পাচ্ছেন, তা নিয়ে চায়ের টেবিল থেকে সর্বত্র ছিল নানামুখী আলোচনা আর গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। নির্বাচন কমিশনের সামনে বেলা পৌনে ২টায় শামীম ওসমানের বিশাল কর্মীবাহিনী যখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ তখন হাবিবুল্লাহ কাঁচপুরী বললেন দলের প্রার্থী হিসেবে সমর্থন পেয়েছেন শামীম ওসমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে শামীম ওসমানের পক্ষে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলাম। এ সময় আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। কিছুক্ষণ পরই জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এস এম আকরামও একইভাবে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। ততক্ষণে নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী দীর্ঘ আকাক্সিক্ষত সেই শামীম ওসমান। আর আওয়ামী লীগের আকাক্সক্ষার বাইরে চলে গেছেন ডা. আইভী। শেষ মুহূর্তে আইভীর যদি নাটকীয় কোনো পরিবর্তন না আসে তাহলে আওয়ামী লীগের আগের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাকে রাজনৈতিকভাবে মূল্যায়নের বিষয়টিও অনিশ্চিত হতে যাবে। দলের একাধিক সিনিয়র নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এমনই আভাস দিয়েছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের সমর্থনের বাইরেও ডা. আইভী প্রার্থী থাকায় বিএনপি মেয়র পদে একমাত্র প্রার্থী নিয়ে লড়ছে। বিএনপিদলীয় মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার রয়েছেন কিছুটা ফুরফুরে মেজাজে। সরকারের ব্যর্থতাই তাকে সফলতা এনে দেবে বলে তৈমূর দাবি করেন। তিনি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহরে লক্ষাধিক নীরব ভোটার রয়েছেন, নির্বাচনে তারা ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দেবেন।
এদিকে আমাদের নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা রোমান চৌধুরী সুমন জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে গতকাল দুজন মেয়র ও ১৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বিশ্বাস বিকাল সাড়ে ৫টায় শহরের চাষাঢ়া ডাকবাংলায় অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
0 comments:
Post a Comment