SPORTS JOBS 7WONDERS

Ads by Cash-71

মার্জিন ঋণের শর্ত শিথিল হচ্ছে

Posted by methun

পুঁজিবাজারে অর্থপ্রবাহ বাড়াতে ব্যাংকগুলো যাতে আরো বিনিয়োগ করতে পারে সেই পথ তৈরি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মার্জিন ঋণ পুনঃতফশিলের ক্ষেত্রে ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিল করার ইংগিত দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংক বা তাদের সাবসিডিয়ারিগুলো মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফ করলে তাতেও আপত্তি নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মহা ব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামান বুধবার  বলেন, নীতিমালা অনুসরণ করে ব্যাংকগুলোই তাদের মার্জিন ঋণ পুনঃতফশিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এক্ষেত্রে ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিল করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংক তা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।

এসব বিষয়ে বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকাররা বৃহস্পতিবার বৈঠক করে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানের বৈঠকের দুই দিনের মাথায় এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলো।

এতে বলা হয়েছে, "বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃতফশিলিকরণের নীতিমালা অনুসরণপূর্বক ব্যাংক নিজেই মার্জিন ঋণ পুনঃতফশিলভুক্ত করতে পারে। এক্ষেত্রে ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিল করার প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আবেদন ইতিবাচক দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হবে।"

ব্যাংকগুলো বা তাদের সহযোগী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (সাবসিডিয়ারি) যে মার্জিন ঋণ দেয়, তার সুদ মওকুফের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো বিধিনিষেধ নেই বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এতে বলা হয়, "ব্যাংক নিজস্ব বিবেচনায় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদ মওকুফ করতে পারে।"

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, "ব্যাংক কোম্পানি আইনে বর্ণিত নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। যে সব ব্যাংক নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে, তাদের বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমায় নামিয়ে আনার সময়সীমা ইতোমধ্যে ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।"

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক তিন মাসে ১৪০০ পয়েন্ট কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে গত রোববার আন্দোলন শুরু করে ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীরা। পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সোমবার পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আয়কর রেয়াত, মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর আরোপিত কর মওকুফ এবং ব্রোকারেজ কমিশনের ওপর উৎসে আয়কর কমানোর ঘোষণা দেয় এনবিআর। পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার স্বার্থে অর্থমন্ত্রীকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য গঠন করা হয় ৫ সদস্যের একটি উপেদেষ্টা কমিটি।

একই দিনে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ও এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আমীনের সঙ্গে বৈঠক করে পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান গভর্নর আতিউর রহমান।

দেশে ১১টি ব্যাংকের সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ রয়েছে জানিয়ে ওই বৈঠকের পর আমীন সাংবাদিকদের বলেন, "আইনি সীমার মধ্যে থেকে শেয়ারবাজার নিয়ে ব্যাংকগুলোর কিছু করার থাকলে গভর্নর তা করতে বলেছেন।"

"শেয়ারবাজারের জন্য এবিবি কোনো উদ্যোগ নিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এবিবির পক্ষ থেকে কী উদ্যোগ নেওয়া হবে, তা বৈঠকে ঠিক করা হবে," যোগ করেন তিনি।

নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক তার মোট দায়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। তবে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর গড় বিনিয়োগ তাদের দায়ের ৪ শতাংশের মতো।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বিষয়গুলো নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বৃহস্পতিবার বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।"

0 comments:

Post a Comment